হযরত খাদিজার রাসুল সাল্লালাহ সালামের সাথে পরিচয়ের দ্বিতীয় পাঠ
হযরত খাদিজার রাসুল নিতান্তই আগ্রহ ও উৎসাহ সাথে বাড়ি ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধি করে রাখলেন । এবং নানান রূপের সুপ্রিয় ও সুস্বাদু খাদ্য জোগাড় করে হরযত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর আগমনের প্রতীক্ষায় পথ পানে তাকিয়ে রইলেন।
যথাসময়ে হরযত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে নিয়ে আতোকা বিবি হযরত খাদিজার রাসুল এর বাড়ি উপস্থিত হলে, তিনি তাদেরকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়ে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেলেন।
ওয়ারাকা ভিন্ন ফের নিকটে নিজের স্বপ্নের অর্থ শোনার পর হতেই খাদিজার আলাই সালাম রাসুল মনে মনে শেষ পয়গম্বর এর প্রতি আত্মসমর্পণ করেছিলেন এবং তাকে দেখার একটা আকুল আগ্রহ হৃদয়ের পোষণ করে তার প্রতীক্ষায়।
খাদিজা হরযত মোহাম্মদ সালাহ সালামের ওয়াসাল্লামকে দেখে তাড়াতাড়ি দৌরাত্ম্য গ্রন্থে খুলে প্রন্ত খুলে তাতে বর্ণিত শেষ পয়গম্বর এর লক্ষণ সমূহ মিলিয়ে দেখলেন যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর প্রকৃত হুবহু মিলে গেছে, কোথাও কোন অমিল নেই। হযরত খাদিজার হৃদয় আনন্দে নেচে উঠলো।
মনে তার সম্বন্ধে যে এরূপ ধারণা করে আসছিলেন, তার কল্পনা অনেক ঊর্ধ্বে ও।তিনি পূর্ণ পূর্ণ হরযত মোহাম্মদ সাল্লালাহ সালামের কোমল মুখচন্দ্র মাধুর্য চোখের গঠন প্রণালী মন মাতানো সৌন্দর্য ও অপূর্ব মুহূর্তে নয়নের দেখতে পেয়ে অবাক খন্ড হয়ে পড়লেন।
তিনি তার হৃদয়ের রাজ্যের মহান সম্রাট কে যতই দেখতে লাগলেন ততই ততই যেন দেখার ও আকাঙ্ক্ষা প্রবল হতে লাগল। মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ওয়াসাল্লাম এর মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি মনে মনে বলতে লাগলেন, ওগো আমার হৃদয়ের রাজ্যের মহান সম্রাট।আপনি যে অনেকদিন পূর্বেই পূর্নিমার চন্দ্র মুখে আমার পক্ষে নেমে এসে আমার শিরায় শান্তির বারি শিঞ্জন করেছিলেন।
আজ আমি আপনাকে প্রত্যক্ষভাবে পেয়েছি। এতদিন পরে বুঝি আপনার এ দাসী এর কথা মনে পড়েছে। আসুন আসুন আমার হৃদয়ের ঈশ্বর। আমার এ হৃদয়ে আপনার জন্য আসন পেতে রেখেছি। আত্কা বিবি অবাক হয়ে হলেন হযরত খাদিজার আসানসোলের ইসলামের কথা শুনে। তিনি যে তাদের এতটা আদর যত্ন করেন এতটা শ্রদ্ধার সাথে কথা বলেন তা দেখে এত কা বিবি অবাক হয়ে গেছেন।
এতটা শ্রদ্ধার সাথে কথা বলেন তা তিনি আশাই করেন নি।হযরত খাদিজার পরম যত্নের সঙ্গে আহার করালেন,
তৎপর স্বর্ণময় পালঙ্কের ফেনীতে শয্যায় শয়ন করে বিশ্রাম করতে গিয়ে নিজেও নিকটে বসে নানা প্রসঙ্গে সু মধুর আলাপ করতে লাগে।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে হযরত খাদিজা রাসুল সাল্লালাহ সালামের তার যে গভীর জ্ঞানের পরিচয় পেলেন তাতে তিনি আনন্দিত হলেন।