শবে বরাত। শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত শবে বরাতের ফজিলত
১.শবে বরাত
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকটা মানুষের উপর কিছু আমলনামা উপস্থাপন করে গেছেন আমার নামার প্রত্যেকটা কর্মকান্ডই আমাদের প্রত্যেকটা মানুষকেই তা পালন করতে হবে।
প্রত্যেকটা দিন বিশেষ গুলিতে আল্লাহতালা তার আমলের নিদর্শন উপস্থাপন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। শবে বরাত একটি পবিত্র রাত হিসেবে গণ্য।
এই শবেবরাতে আল্লাহ তায়ালা মানুষের পূর্বের সব গুনাহর একটা রাস্তা তৈরি করে দিয়েছেন এই শবে বরাতের রাতকে। শবে বরাতের প্রত্যেকটা মানুষেরই কমবেশি সবার আজ সম্বন্ধে জানা।
বিশ্বের যত মুসলিম কান্ট্রি আছে সবাই শবেবরাতের রাতটাকে পবিত্র রাত হিসাবে গণ্য করে থাকেন।
শবে বরাত বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বড় মুসলিম কান্ট্রিতে শবে বরাত রাত্রি তারা সারারাত অজ্ঞাত অর্ঘুমা অবস্থায় রাত টিকে সম্পূর্ণভাবে পরিপূর্ণভাবে এবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করে এই রাত্রিকেই তারা বেছে নিয়েছেন তাদের ধর্মের একটি মহামূল্য পবিত্র রাত হিসেবে।
শবে বরাত এমন একটি রাত যার মূল্য মাপকাঠি বলে শেষ করা যাবে না শবে বরাত এমন একটি রাত যা ভাগ্য নির্ধারণের রাত এ রাত্রিতে আল্লাহতালা স্বয়ং প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকে শবে বরাতের রাত মাফ চাওয়ার রাত গুনাহ থেকে পরিহার করার রাত আল্লাহতালা যে কয়টা রাতের কথা উল্লেখ করেছেন যে গুনহা থেকে পরিহার বা কবিরা গুনাহ থেকে মুক্তির যে কয়টি রাত বলা হয়েছে সে কয়টি রাতের ভিতরে শবে বরাতের রাত একটি।
শবে বরাতের রাতে এক অদৃশ্য বৃষ্টির পানি ফোঁটা ফোটা রাতে পরে নিঝুম রাতে মাঝরাতে এই পানিকে পবিত্র পানি বলে ধারণা করা হয় বৃষ্টির ফোটা ফোটা এক ফোটা দুই ফোটা পবিত্র পানি যে মানুষের শরীরে পড়ে তার পবিত্রতা বা সে মানুষটি মনে মনে ভাবে যে আল্লাহর রহমতের পানি আমার শরীরে পড়েছে।
শবে বরাতের রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে এসে প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকে এই শবে বরাতের রাতে।
প্রত্যেকটা মানুষই উড়তে বসতে চলাফেরায় কথাবার্তায় অজস্র গুনাহ করে থাকে কবিরা গুনাহ যে গুনার কোন মাপ হয় না শিরকি গুনাহ যে গুনার কোন মাপ হয় না সেই গোনার মাপ আল্লাহতালা এই শবে বরাতের রাত্রে করে দিয়ে থাকেন।
নবীজি যখন মিরাজে গিয়েছিলেন তখন আল্লাহ তা'আলা বলেছিল যে প্রত্যেকটা মানুষের এই গুনাহর কথা তারতম্য করে নবীজির মাধ্যমে আল্লাহতালা উপস্থাপন করেছিলেন।
নবীজির এই ভয়ংকর গুনাহর কথা মানব কুলের যে করবে মানুষ যে প্রতিনিয়ত গুনা করবে একথা ভেবেই চোখ দিয়ে তার অজস্র অশ্রু বের হতে থাকে আল্লাহ তাআলা বলেন যে তুমি মানব কুল কে কিভাবে বাঁচাবে া মানব কুল অজস্রভাবে এই যে গুনা করবে উঠতে বসতে কবিরা গুনাহ এর পরিধান কি করে আল্লাহতালার কাছে নবীজি বললো যে কিভাবে এরা এই কবিরা গুনাহ থেকে মুক্তি পাবে।
নবীজি যখন মিরাজে যায় তখন এই আল্লাহতালার কাছ থেকে শুনতে পায় যে প্রত্যেকটা মানুষের অজস্র কবিরা গুনাহ করতে বসতে কথা চলতে ফিরতে যে গুনার কোন মাপ নেই এই কবিরা গুনাহ থেকে কিভাবে পরিধান পাবে আল্লাহতালার কাছে তখন নবীজি জানতে চাইলেন যে আল্লাহ কিভাবে এরা এই কবিরা গুনাহ থেকে এই অজস্র গুনাহ উড়তে বসতে যে হাজার হাজার গুনা এই গুনা থেকে তারা কিভাবে মাপ পাবে।
তখন আল্লাহ তা'আলা নবীজি কে বলল যে তিনটি রাত আমি নির্দিষ্ট করে দিয়েছি এই তিনটি রাতে যদি সারারাত কোন ব্যক্তি এবাদত করে তাহলে তার হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বছরের গুনাহ মাফ হবে।
তখন আল্লাহতালার কাছে জানতে চাইলেন যে এই তিনটি রাত এই মহামূল্যবান মানুষের জন্য যে তিনটি রাত আল্লাহ আপনি বলেন যে এই তিনটি রাত কি রাত সেই রাতগুলি আমাকে বলেন যে রাতে মানুষ এবাদত করলে তার সারা জীবনের গুনাহগুলি তার পিছনের যত গুনাবলী আছে এই কবিরা গুণী থেকে সে মুক্তি পাবে।
তখন আল্লাহতালা বলল যে এই গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রথম যে রাতটি সেটি ধরা হলো
১.শবে মেরাজের রাত
২. শবে বরাতের রাত
৩. রোজার যে সাতাশের রাত থাকে সেই সাতাশের রাত.
শবে মেরাজের রাত শবে বরাতের আগের যে ১৫ দিন আগে যে একটি শবে মেরাজের রাত আল্লাহতালা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এটি পবিত্র এবং মূল্যবান শবে মেরাজের রাত।
এই সবে মেরাজের রাতকে এতই গুরুত্বপূর্ণ দিয়েছেন যে আল্লাহতালা সব রাতের থেকে একটু ভিন্ন করে দিয়েছেন এই শবে মেরাজের রাতেই অজস্র কবিরা গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই শবে বরাতের রাতেই মানুষ তার পূর্বের যত গুনাহ আছে আল্লাহর কাছে সারারাত ভরে যদি ফরিয়াদ করে জানায় তাহলে আল্লাহতালা তাকে এই মুহূর্তেই অভিশাপ থেকে তাকে এই গুনাহ থেকে তাকে মুক্তি করার একটা রাস্তা করে দিয়েছেন সেটা হলো সবে মেরাজের রাত।
শবে মেরাজের রাত যদি সারারাত কেউ ইবাদত করে এবং যদি ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমায় তাহলে তার মন অনেকটাই পবিত্র করে দেন আল্লাহ তা'আলা সে আস্তে আস্তে তার গুনাহর রাস্তা থেকে সে নিজেই আস্তে আস্তে সরে যাবে তার মনকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করে তুলবে আল্লাহতালা।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ নবী করীম সাঃ এই শবে মেরাজের রাতে সারারাত জেগে নফল নামাজ পড়তেন এবং জিকির আজগার করতেন আল্লাহকে সব সময় সে সারারাত আল্লাহর জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন এবং অজস্রভাবে চোখের জল ফেলতেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ।
তিনি একজন নবী হয়ে অজস্রভাবে চোখের জল ফেলতেন এই শবে মেরাজের রাতে আমরা তো সাধারণ মানুষ।
আল্লাহতালার প্রতিটি নিয়ামতকে আমরা উপভোগ করি কিন্তু আল্লাহ আমাদেরকে যে নির্দিষ্ট করে কিছুদিন দিয়েছে যার মাধ্যমে আমরা কবিরা গুনাহগুলি থেকে মুক্তি পাবো তা আমাদের অবশ্যই পালন করা দরকার।
এবং আমরা যদি দোযখের আগুন থেকে মুক্তি চাই এবং দোযখের যে ভয়াবহ কঠোরতা থেকে যদি মুক্তি চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের আল্লাহর বিধান মেনে চলতে হবে।
৩. ২৭ এর রাত ২৭ এর রাতটি একটি মহামূল্যবান রাত এই রাতে সারাদিন মানুষ রোজা থাকার পরে অনেকেই প্রার্থনার কাজে মুক্ত থাকে না তবে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ সারাদিন রোজা থাকার পরও সারারাত নফল নামাজ ইবাদত এবং আল্লাহর মনে বন্দীর জিকির আজগারের ব্যস্ত থাকতেন এবং সেহরি করে তারপর ফজরের নামাজ পড়ে তিনি একটু বিশ্রাম নিতেন.
নবীজির প্রত্যেকটা আমলনামায় আমাদের শিরায় উপস্থাপন করা দরকার কারণ আমরা তার উম্মত তারপর প্রদর্শক তিনি আমাদের চোখের জল তিনি তার চোখের জল আমাদের জন্য হাজার হাজার কষ্ট তার।
শবে বরাত লাইলাতুল শবে বরাত যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি সময় মেরাজ রাতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং ২৭ এর রাত সমানভাবেই গুরুত্বপূর্ণ।
২৭ শে রাতে আল্লাহ তায়ালা সাত আসমান থেকে প্রথম আসমানে আসে এই সাতাশের রাতের গুরুত্বপূর্ণটা আল্লাহতালা এবাদতটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সহকারে দেখেন কারণ সারারাত সারাদিন বান্দারা রোজা রেখে এবং সারারাত এবাদত করে এজন্য 27 রাত তাকে আল্লাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহীদ দেখেন।
আল্লাহ তাআলা রোজার উপহার নিজ হাতে দিবেন এবং 27 রাতে যদি সারারাত ইবাদত করেন তাহলে তার গুরুত্বটা কতটা হতে পারে এবার আপনারা নিজেরাই বিচার করবেন।
আল্লাহ তাআলার প্রতিটা নিয়ামত আমরা উপভোগ করি আল্লাহ তায়ালার কিছু কিছু নির্দিষ্ট দিনগুলি আছে তা যদি আমরা পালন করে থাকি তাহলে তার নেয়ামত খেয়েছি অবশ্যই তার কাছে আমরা ঋণী সেই ঋণ থেকে তিনি আমাদেরকে পরিধান করবেন তার কিছু আমলনামার মাধ্যমে।