কারবালার ইতিহাস । কারবালার মূল কাহিনী সংলাপ ইতিহাস হোসান রাদিয়াল্লাহ মর্মান্তিক মৃত্যু।
কারবালার ইতিহাস
মক্কা এবং মদিনায় সর্বপ্রথম নবীজির আমল থেকে তখন মানুষের কোন রাষ্ট্রীয় বিধান ছিল না। তখনকার মানুষ গান-বাজনা ধর্মালম্বী মানে মূর্তি পূজা এসব নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
তখন রাষ্ট্রের কিছু মূল একনায়ক কিছু মানুষ যারা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। এবং সেই রাষ্ট্রপ্রধান শুধু পরিবার থেকেই হত রক্তের কানেকশন ব্লাড কানেকশনের মাধ্যমে সে তখনকার আমলে রাষ্ট্রপ্রধান পরিচালিত হতো এক নয়ন তত্ত্ব যাকে বলে বাবা মরে গেলে ছেলে পাবে ছেলে মরে গেলে তার ছেলে পাবে।
তো নবীজি আস্তে আস্তে এই চিন্তা ধারাকে মানুষের এই চিন্তা ধারাকে আস্তে আস্তে পরিবর্তন করে ,এবং সে আস্তে আস্তে বলে যে যার যোগ্যতা আছে সেই খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান হবে।
দীর্ঘদিন এইভাবে সে আস্তে আস্তে কমিটি গঠন করে এবং আস্তে আস্তে তাহার স্বাভাবিক বা তার সহচর আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে তখন একপর্যায়ে এটাকে রূপান্তরিত করে সবাই তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে তার চলাফেরা তার কর্মকাণ্ড কাঠামো সবকিছু তার বিবেচনা করে সে একসময় রাষ্ট্রপ্রধান হয়।
সে দীর্ঘদিন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে খলিফা পদ হিসাবে সে নিয়োজিত থাকে এবং তাকে সবাই সম্মাননা দেয় এবং আমাদের দেশের সরকার যেমন ঠিক তেমনি তাকে সবাই ভক্তি শ্রদ্ধা করে এবং তার কথাই সবকিছু চলে।
তখনকার যুগে অবশ্য গড়তো ছিল এক গোষ্ঠী ছিল বড় বড় গুষ্টির প্রধান ছিল এবং রাষ্ট্রপ্রধানও ছিল তো আমাদের নবী ছিলেন রাষ্ট্রপ্রধান খলিফা।
এক একটা এলাকার যেমন রাষ্ট্র মেম্বার চেয়ারম্যান থাকে মন্ত্রী থাকে উপমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় মন্ত্রী ঠিক তেমনি আমাদের নবীও তখনকার আমলের খলিফার বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।
তখন তিনি যখন মারা যায় তখন তিনি এই খলিফা পদ বা রাষ্ট্রপ্রধান পথ কাউকেই দিয়ে যান নাই না দিয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।
সবাই ভেবেছিলেন যে তার সহচর তার ভালোবাসার মানুষ সবসময় যে তার সাথে থাকে সে ছিলেন হযরত আবু বকর আনহু ,সবাই এটা ধারণা করেছিলেন যে হযরত আবু বকর আনহুর কাছে তিনি তার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বা খলিফার পদ দিয়ে যাবেন।
কিন্তু সে খলিফার পদ হযরত আবু বক্কর আনহুর কাছে দিয়ে যাননি কারো কাছেই তিনি সোপারতো করে যাননি।
তো তার সাহাবী বা জনগণ সিপাহী সবাই হযরত আবু বক্কর আনহুর যেহেতু তার প্রতি তার খুব অনুগত ছিল তার ভালোবাসার মানুষ ছিল সেই হিসেবে তাকেই তারা বিবেচিত করেন খলিফা হিসাবে।
হযরত আবু বক্কর
নবী করীম সাঃ তার পরিবারের কাউকেও এই খলিফা পথ দিয়ে যাননি। জনগণ এবং সাহাবীগণ সবাই মিলে হযরত আবু বক্কর আনহুর কে রাষ্ট্রপ্রধান এবং খলিফার পদে ও আখ্যায়িত করেন, হযরত আবু বক্কর যখন ইন্তেকাল করেন তখন তার পরিপ্রেক্ষিতে আসেন হযরত হযরত ওমর আলাইহিস সালাম।
হযরত ওমর
হযরত ওমর আলাইহিস সালাম তখন তার উনি দীর্ঘদিন যাবত রাষ্ট্রীয় পরিচালনা করেন বেশ ভালোভাবে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন কিন্তু সবাইকেই তো এক সময় সবকিছু থেকে অবসর নিতে হয়।
ঠিক তেমনি তিনিও রাষ্ট্রর থেকে পরিহার করেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হন।
এমতা অবস্থায় তিনি কয়েকজনকে কমিটি গঠন করেন যে আমার ইন্তেকালের পর আপনাদের মাঝে যে কেউ এই খলিফা পদ বা রাষ্ট্রীয় প্রধানের পথ পাবেন।
এটি আমি জীবিত থাকা অবস্থাতেই আপনাদেরকে রাষ্ট্রীয় পদে অক্ষয়ত করে দিতে চাই। তখন ছিলেন ওসমান ,আব্দুর রহমান, ওসমান আলী, তালহা, জুবায়ের ,সাহা দেবী আক্কাস আব্দুর রহমান, ও হযরত আলীএই কয়জনের ভিতরে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির ভিতর থেকে একজন আব্দুর রহমান বলেন যে হুজুর আমি এই দায়িত্ব নিব না ,আমি এর থেকে সরে যেতে চাই।
আব্দুর রহমান তখন বলেন হুজুর ওমর আঃ আপনি আমাকে দায়িত্ব দেন যে আমি জনগণের মাধ্যমে জানতে চাই যে কে তাদেরকে কাকে ভালো লাগে তারা কাকে নায়েবের পথ বা খলিফার পদ দিতে চায় বসাতে চায়।
তিনি দিন রাত ৩ দিন ধরে ধরে জনগণের সাথে পরামর্শ করে এবং সবার মনের কথা জানতে চাই এবং সবাই ওসমানের দিকে ইঙ্গিত দেয় সবাই বলে যে ওসমানকেই খলিফার পথ বা নায়েবের পথ দিতে সবাই রাজি।
একদিন ফজরের নামাজের সময় ওমর আলাই সালাম হুজুর কে বলেন যে আব্দুর রহমান সাহাবী নবীদের সাহাবী তিনি বলেন যে হুজুর সবাই ওসমানের দিকে দর্ষণ করছে এবং ওসমানকে সবাই খলিফা করতে চায়। একথা আলীর কাছেও বলেন এবং ওমর এর কাছেও বলেন।
তখন ফজর নামাজের পর সবাই বায়াত করে এবং সবাই মোনাজাত করে এবং ওসমানকেই সবাই খলিফা করে দেয়।
ওসমানী হয় রাষ্ট্রের প্রধান এবং খলিফা এই ওসমানের সময়ের যতসব শুনুন যুদ্ধ এবং যত দুর্ঘটনা ঘটে। হযরত ওসমান আলাই সালাম এর মৃত্যুর পর হযরত আলীকে মদিনার লোকেরা খলিফা বা রাষ্ট্রপ্রধান তো করেন।
ওসমানের মৃত্যুর কারণে সিরিয়ার লোকেরা জনগণেরা খুবই তীব্র ক্ষণ হয়ে থাকে বা তারা খুব ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে আলির উপর তারা ওসমানের মৃত্যুর প্রতিবাদ জানায়। তখন সিরিয়ার লোকের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ সবসময় যুদ্ধ লেগেই থাকে এই যুদ্ধ টানা এসরার মাঝে মারা গেলেন হযরত আলী।
হযরত আলী ছেলে হাসান রাদিয়াল্লাহ কে কুফল লোকেরা রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রীয় খলিফা করেন। কিন্তু এদিকে মহাবিদ ওয়ালা খেলাফত যুদ্ধ ঘোষণা করেন এই যুদ্ধের কারণে হাসান রাদিয়তালা আনহু তিনি রাষ্ট্রীয় প্রধান বা খলিফার পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং তিনি বলেন আমার নানার সাহাবীগণের বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ করতে পারবোনা ,তাই তিনি তার পথ থেকে সরে দাঁড়ান।
মহাবীদ একটানা ২০ বছর রাষ্ট্রপ্রধান থাকেন এবং খুব ভালোভাবে রাষ্ট্রপ্রধান করেন দেশে কোন দুর্ভিক্ষ হয় না দেশে খুব ভালোভাবে জনগণ খেয়ে পড়ে ভালো থাকেন।
সবাই বলতে লাগে যে মহাবীর আসার পর একদম ওমর আলাই সালাম নবীজির আমলে যেভাবে মানুষ ভালোভাবে বেঁচে ছিলেন ঠিক এখন এইভাবে একইভাবে বেঁচে আছেন।
তারা মহাবিদের কে খুব ভালোভাবে সমর্থন দেন এবং ভালো জানেন। তখন মহাবিদের পরামর্শে এখন রাষ্ট্রপ্রধান আরেকজনকে দিতে হবে একজনই তো আর রাষ্ট্রপ্রধান থাকতে পারে না তো তখন তিনি বলেন যে কাকে রাষ্ট্রপ্রধান করা যায়।
এমত অবস্থায় কিছু জনগণ বলে যে আপনার ছেলে এজিদকে রাষ্ট্রপ্রধান করেন খলিফা পদ দেন। কিন্তু মদিনার লোকেরা আর মক্কার লোকেরা এজিদকে সমর্থন দিতে রাজি নন এজিদকে তারা পছন্দ করেন না।
কিন্তু এজিদের ও কিছু মানুষ সমর্থন করতেন কিছু সমর্থন আছে তার রাষ্ট্রেরও কিছু সমর্থন ছিল এজিদের কিন্তু এজিদকে মদিনার লোক আর মক্কার লোকরা ভালোবাসতেন না।
সে যাই হোক তিনি একটি রাষ্ট্র প্রধানের ছেলে তার কিছু কদর তো অবশ্যই ছিল সবাই ভালবাসতেন এবং এ জিতি খলিফা হতেন খলিফা হয়েছিলেন। কিন্তু এতে রাজি ছিলেন না অনেকেই তারা খুব খুব তো ছিলেন।
এজিদ এখনো ক্ষমতা পায়নি ঠিক তখন কুফার লোকেরা হোসেন আঃ সালামের কাছে চিঠি প্রদান করেন যে আপনি আসেন আমরা আপনাকে রাষ্ট্রপ্রধান করব আপনাকে আমরা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে চাই অন্য কাউকে চাই না।
মহোদয়ের ছেলে অজিতকে আমরা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখতে চাই না হুসাইন আঃ আপনি আসেন আপনাকে আমরা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দেখতে চাই এটি ছিল কুফল লোকদের কথা।
কিন্তু কুফল লোকেরা ছিল খুব ভীতু তারা খুব একটা শক্তি সম্পন্ন বা তাদের সাহস খুব কম ছিল তাদের কথায় সব সর্বনাশ হয়ে যায়। হুসাইন আঃ নবীজির নাতনি নাতিন তিনি যান কুফল লোকের কু পরামর্শেতে তিনি যান সেখানে খলিফা পথ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার জন্য।
এদিকে মক্কার এবং মদিনার লোকরা তাকে ছাড়তে চায় না যে বলে যে আপনার রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার দরকার নেই রাষ্ট্রের প্রধান হতে গেলে অনেক সমস্যা আপনি ওদিকে যাইয়েন না আপনি আমাদের এখানেই থাকেন। কিন্তু হোসাইন আঃ ছিলেন খুব সাহসী এবং তিনি বললেন কুপার লোকেরা আমার লক্ষ লক্ষ মানুষ আমার কাছে চিঠি দিয়েছে আমি যাই আমি যাই কেন আমি ভয় পাব ভয় পেয়ে বসে থাকবো।
তিনি কুফার লোকের কথা শুনে পা বাড়ান এবং পরিবারসহ কিছু সাহাবী নিয়ে চলে যান সেই কুফায় এবং সেখানে রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি যান। এদিকে এজিদের লোকজন ঠিক পেয়ে যায় যে হোসাইন আঃ হোসাইন তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার জন্য আসতেছেন।
এবং তিনি যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য আসতেছেন এই কথাটা ভেবে এজিদের লোকজন তার দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে আসেন। কিন্তু নবীর নাতিন হোসাইন তিনি যুদ্ধ করার জন্য যাননি তাকে ভালোবেসে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল তাই সে রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার জন্য গিয়েছিল।
এজিদের লোকজন তাকে হত্যা করার জন্য ঘিরে ফেলে। কিন্তু এজি দ হোসেনকে হোসাইনকে হত্যা করার পরামর্শ দেননি বা হত্যা করতে চাও কথাও বলা হয় করেননি কিন্তু তার কিছু লোক আছে দুষ্ট লোক তারা হোসাইন আঃকে তার পরিবারসহ এবং তার সাহাবীসহ তাকে হত্যা করে।
এজিদ এর বিচারও করেনি এবং এজিদ খুশি হয়েছেন অবশ্যই সে একজন শত্রু মারা গেল এবং সে রাষ্ট্রপ্রধান হবে এখন আর বাধা দেওয়ার কেউ নেই সে আবার অংশ খুশি হয়েছে।
তবে এজিত ছিল মুসলমান কিন্তু এজিদ মুসলমান হল তিনি রাষ্ট্রীয় একটা কূটনৈতিক শয়তান। পরামর্শ যদিও ইতিহাসে নেই যে তিনি হোসাইনকে হত্যা করার অনুমতি দিয়েছেন তবে অনুমতি দেনা নাই দেন হোসাইনকে তো হত্যা করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে তিনি ভালো মানুষ ছিলেন না।
হোসেন যদি যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যেতেন তাহলে সে সে যুদ্ধের পরিমাটি করেই যেতেন কিন্তু সে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যায়নি কুফার লোকেরা তাকে ভালবাসছেন সেই হিসেবে তিনি গেছেন চিঠি পাওয়ার পরে কিন্তু কুফার লোকেরা পিছপা হয়ে যান এজিদের সৈন্যদের ভয়ে সেজন্য এজিদ নৃশংসভাবে হোসাইনকে হত্যা করে তার পরিবারসহ।
কারবালার মাঠে শহীদ ধন হোসাইন রাদিয়া তালা আনহো এই মর্মান্তিক মৃত্যু এ জিতের সৈন্যরা হুসাইন কে করে হোসাইন রাদিয়াল্লাহুকে নির্মমভাবে নিঃশঙ্কর স্বভাবে হত্যা করে তার কে নৃশংসভাবে হত্যা করায় পুরা ইসলামবাসী খুব তো ইয়াজিদের বিরুদ্ধে।
করলার মাঠে এই মর্মান্তিক কাহিনী কে শিয়া সুন্নিরা আজও প্রতিবছর রক্তাক্ত কিভাবে নিজেকে নিঃশেষ করে এবং আর্তনাদ করে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম এর নাতি হযরত আলীর ছেলে মা ফাতেমার ছেলে হোসাইন ইন্তেকাল করেন কারবালার মাঠে এজিদের সৈন্যদের হাতে।
হোসেন রাদিয়াল্লাহ বলেছিল যে আমি তো তোদেরকে সাথে যুদ্ধ করতে আসি নাই তোরা আমাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছিস দেশের খলিফা বানাবে রাষ্ট্রপ্রধান বানাবি সেজন্য আমি তোদের কাছে এসেছি এসেছি আমি তো কোন যুদ্ধ করতে আসিনি কিন্তু এজিদের সৈন্যরা তা শুনলেন না তাকে নির্মম ভাবে কারবালার মাঠে তাকে পরাজিত করে এবং তাকে হত্যা করে। হুসাইন রাঃ সাথে তার অনেক শূন্য এবং তার সহচররা তার মুসলমান অনেক কে সহজেই তারা হত্যা করে। হোসেন রাঃ নির্মম হত্যাকাণ্ডের সাথে ইয়াজিদের যে ভয়ংকর আচরণ করেছিলেন ইয়াজিদের সৈন্যরা তারা আজও অভিশপ্ত।
আরও দেখুন=জীবন পরিবর্তন করে দেওয়ার মতো মূল্যবান কিছু সংলাপ মূল্যবান কিছু কথা।