সুন্দরবন কয়টি জেলা নিয়ে গঠিত।
বাংলাদেশের একটি মহামূল্যবান সম্পদ হলো সুন্দরবন। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হওয়ার আগে পাকিস্তান শাসনের আগে যখন ব্রিটিশ রাজত্ব করত সারা পৃথিবীতে সুন্দরবনকে ম্যানগ্রোভ বন বলা হত।
বর্তমানে সুন্দরবনে অসংখ্য সুন্দরী গাছ চোখে পড়ায় স্থানীয় মানুষেরা তাকে সুন্দরবন নাম ধারণ করে। হাজার হাজার গাছ সুন্দরী গাছ চোখে পড়ায় আর সৌন্দর্যকে উপলব্ধি করে নামকরণ করা হয় সুন্দরবন।
বর্তমানে সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার এর পুরোটাই বাংলাদেশের ভিতর ছিল। তবে কারো কারো মতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের যুদ্ধ চলাকালীন সময় ভারত বিশেষ ভূমিকা রাখে বাংলাদেশের সহযোগিতা করে।
এই যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু অংশ ভারতকে দিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে সুন্দরবনের অবস্থান বাংলাদেশের ৬ ০০০ বর্গ কিলোমিটার এবং ভারতে আছে 4000 বর্গকিলোমিটার টোটাল বাংলা সুন্দরবনের আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার।
ভারতের দুটি জেলা আছে এই সুন্দরবনের ভিতরে একটি উত্তর 24 পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা অবশিষ্ট। এবং বাংলাদেশের পাঁচটি জেলায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই সুন্দরবনের দৈর্ঘ্য। জেলাগুলো হলো খুলনা সাতক্ষীরা পটুয়াখালী বরগুনা খুলনা বাগেরহাট পিরোজপুর।
আরও দেখুন:কোন নদীর তীরে অবস্থিত সুন্দরবনের মোহনীয় সৌন্দর্য আবিষ্কার করুন?
সুন্দরবনের সর্ববৃহৎ যে দ্বীপ রয়েছে তার নাম ব-দ্বীপ এই বদ্বীপের আয়তন ৩৩৫ কিলোমিটার সুবিশাল আয়তনের এই দ্বীপটি দেখতে আসা হাজার হাজার পর্যটকের সমাহার ভিড় সবসময় থাকেই।
সুন্দরবনের মহামূল্যবান সম্পদ সবচাইতে বড় দ্বীপ তার নাম
সুন্দরবনের সবচাইতে বড় দ্বীপ তার নাম হলো বদ্বীপ। সুন্দরবনের পৃথিবীর সবচাইতে বড় দ্বীপ এটি হওয়ার কারণে এই দ্বীপটির নামকরণ করা হয়েছে বদ্বীপ।
এশিয়া মহাদেশের এটি সবচাইতে বড় দ্বীপ। হাজারো পর্যটক প্রতি বছরই এটিতে দেখতে হাজার হাজার মানুষের ঢল এবং ভারত বাংলাদেশ উভয় উভয়ই হাজার হাজার পর্যটক এখানে এই দিকটিকে দেখতে আসে।
অসাধারণ সৌন্দর্যময় এই দ্বীপের বৈচিত্র্যময় সুন্দরী গাছে ঘেরা এবং হাজারো রকমের উদ্ভিদ প্রজাতি এই দ্বীপে বিস্তার। সুবিছাল এই দ্বীপটির এতটাই সৌন্দর্যময় যে তার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষের ঢল।
সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। এটির এত সুন্দর্যময় পুরো পৃথিবীর কাছে আলোচিত এবং ম্যানগ্রোভ সারা পৃথিবীর কাছে পরিচিত এই সুন্দরবন। সুন্দরবনের ছোট বড় প্রায় ২১৬ টি দ্বীপ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ব-দ্বীপ।
অসংখ্য নদী নালার শাখা প্রশাখা এই বদ্বীপদের সাথে মিলিত রয়েছে প্রায় ৫১৬টির মতন শাখা প্রশাখা দ্বারা বেষ্টিত এই বদ একটি প্রায় ৩২৫ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে অবস্থিত এই দিপটি।
বাংলাদেশের একটি আইডল হিসেবে রয়েছে এই সুন্দরবন এই সুন্দর বনে এমন কোন উদ্ভিদ নাই যা পৃথিবীতে আছে কিন্তু সুন্দরবনে নেই। হাজারো প্রজাতির উদ্ভিদ এই সুন্দরবনে পাওয়া যায়। বর্তমানে বটফান্ড নামের একটি গাছের পাতা যা ক্যান্সার প্রতিরোধক করে তা এই সুন্দরবন থেকে আরোহন করা হয়।
প্রাণিজগতের বর্ণনা।
সুন্দরবনে জলজ প্রাণী এবং মাছ জাতীয় কাঁকড়া বিছা ইত্যাদি প্রায় হাজার প্রজাতির রয়েছে। এবং উদ্ভিদ রয়েছে প্রায় হাজার প্রজাতির অসংখ্য উদ্ভিদ রয়েছে যা পৃথিবীর সব জায়গায় না পাওয়া গেল এই সুন্দরবনে খুঁজলে পাওয়া যাবে অসংখ্য কাজ পালা শিকড় উদ্ভিদ।
উদ্ভিদ জগতে তার ভিতরে অন্যতম হলো অসংখ্য চোখে পড়ে ছোট বড় হাজার হাজার সেটা হল সুন্দরী গাছ এই সুন্দরী গাছকে নামকরণ করেই বলা হয় সুন্দরবন নাম রাখা হয়েছে
এই সুন্দরবনকে বাংলাদেশের আইডল এটি সর্বপ্রথমে নাম ছিল বর্ণ ম্যানগ্রোভ বন যা সুন্দরবনের দ্বিতীয় নাম হিসেবে পরিচিত ম্যানগ্রোভ বন।
অপরূপ সৌন্দর্যময় সুন্দরবনের বসবাস মানুষের জীবিকা।
সুন্দর মালের বনের মানুষের কর্মের স্থান একটি শুধুমাত্র সুন্দরবনকে ঘিরে এই সুন্দরবনের কার্ড আরোহন করা এবং মধু সংগ্রহ করা এবং বট পাতা সংগ্রহ করে কাঠ খড়ি জালানো ইত্যাদির উপরেই তাদের জীবিকা নির্ভর।
এবং সুন্দরবনে রয়েছে অসংখ্য নদ-নালা বা অসংখ্য নদীর শাখা প্রশাখা এখান থেকে মাছ আরোহন করেও তাদের জীবিকা নির্বাহ করা হয়।
সুন্দরবনের মধুর চাষ খুবই একটি তাদের কাজের বৈশিষ্ট্য এক নম্বরে মধু চাষ তবে এই মধু চাষ আরোহন করতে গিয়ে অনেক সাপ কাঁকড়া বিছার শিকার হয় অনেক জেলে।
তাদের কাজটা খুবই কষ্টদায়ক এবং মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার মতন এই মধু সংগ্রহ করে যারা করতে যায়।
প্রতিটা মুহূর্তই তাদের বাঘের থাপার মুখে পড়তে হয় এবং তাদের প্রতিটা মুহূর্তই তাদেরকে মৃত্যুর সাথে সর্বক্ষণ পাঞ্চালটতে হয়।
মধু শিকার পাদেও কিছু কিছু শিকারি আছে তারা বন্যপ্রাণী যেমন বন ছাগল বন যত ধরনের পশুপাখি আছে এগুলি তারা আহরণ করে তার খাদ্য নির্বাহ হরণের জন্য নিজেকে জীবিকা আরোহন করে থাকেন।
সুন্দরবনের মানুষের শিক্ষা ব্যবস্থা বা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই মর্মান্তিক তাদের সরকারিভাবে চিকিৎসা বা তাদেরকে সরকারিভাবে সহযোগিতা খুব কম পাওয়া হয় তাদের নিজেদের উপরে নির্ভর করে থাকে সবকিছু।
তাদের সরকারিভাবে কোন ভাতা দেয়া হয় না তাদের নিজের কর্মের উপরেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয় খুবই কষ্টদায়ক তাদের জীবন যাপন।
এখানে নেই কোন বড় মিল কারখানা নেই কোন ফ্যাক্টরি নেই কোন ভালো কর্মসংস্থানের স্থান তাই তাদেরকে এই বনের উপরে নির্ভর করতে হয়।
সম্প্রতি ওখানে চিংড়ি চাষের জন্য ছোট বড় অনেক ছোটখাটো কারখানা তৈরি হয়েছে এখান থেকে চিংড়ি চাষ করে তারা বিদেশে রপ্তানি করে এখানে কিছু কর্মসংস্থান হয়েছে মানুষের।
এবং কাঁকড়া সংগ্রহ করে তারা চায়নাতে সরাসরি পাঠিয়ে দেয় এতেও মানুষের কিছু কর্মসংস্থান হয়েছে তো বেশি একটা লাভজনক নয়।
বনের কাঠ কেটে মানুষের জীবিকা নির্বাহ এটা খুব ভালো কাজ করতেছে তবে এখানে কিছু রিস্ক বা কষ্ট আছে যেমন সাপ বিছা বাঘের থাবার মুখে পড়া এগুলি প্রতিনিয়ত তাদেরকে পাঞ্জা লড়তে হয় তাদের সাথে।