দাজ্জাল সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী

History
0

 

দাজ্জাল সম্পর্কে

দাজ্জাল সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর বাণী 

তিনি এক দা ফজর নামাজের পর সাহাবীদের সঙ্গে দাজ্জাল সম্পর্কে আংশিক কিছুটা উপমা দিয়েছেন ,সেখানে সাহাবীরা ছিলেন তাদের ভিতর একজন ছিলেন হযরত নও ওয়াজ ইবনে সামওয়ান রাসুল। সংক্ষেপে আমি শুধু নাওজ বলতেছি, নামাজ রাসুল সালাম হযরত মোহাম্মদ সাঃ কে বলতেছেন যে হুজুর দাজ্জালের আবির্ভাব হলে তখন কি এমন ঘটনা ঘটবে যাতে আমরা বুঝতে পারবো যে দাজ্জালের মহামারী প্রলয় ঘটবে। 



তখন হযরত মুহাম্মদ সাঃ দাজ্জাল সম্বন্ধে যা বললেন, তাতে খুবই ভয়ংকর এবং বিস্মিত তার অত্যাধুনিক ক্ষমতা এক হাতে জাহন্নাম এক হাতে বেহেস্ত নিয়ে সে ফেতনা সৃষ্টি করবে মানুষের মাঝে ঝড়গা বিবাদ এবং মানুষকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে খোদা মানতে বাধ্য করবে। দাজ্জালের এতটাই ক্ষমতা দিয়ে দিছে যে দাজ্জাল যখন তখন একটা মানুষকে বোকা বানাতে বা তার জাদু দেখাতে সে নিমিষেই দেখায় দিতে পারবে যে কোন একটা বড় তালগাছ বানিয়ে দিবে একটা সাপ বানিয়ে দেবে একটা বিচ্ছু বানিয়ে দিবে একটা বাঘ তৈরি করে দেবে এগুলি দেখিয়ে মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে তার তার প্রতি আকর্ষণ করবে এবং তাকে খোদা মানতে বাধ্য করার জন্য চেষ্টা করবে এগুলো দাজ্জালের প্রথম বৈশিষ্ট্য। দাজ্জাল পৃথিবীতে একটা ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে । এমত অবস্থায় নাওজ রাসুল আরো সাহাবীরা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের বয়ান শুনে বা তার ফিতনার কথা শুনে চমকিত হয়ে গেল এবং খুব বিমর্ষ অবস্থায় তাদের চেহারা হয়ে গেল এমত অবস্থায় তাহারা যার যার ন্যায় চলে গেলেন। তখন যোহরে ও তাদের দাজ্জাল নিয়ে কথা হয়নি যার যার কাজে চলে গেছেন এবং আসরের সময় তখন তারা সাহাবী সহকারে আবার বসলেন। সাহাবীরা ছিলেন নাওজ রাসুল ছিলেন তাদের চেহারার দিকে হযরত মুহাম্মদ রাসুল সালাম তাকিয়ে একদম আতঙ্কিত হয়ে গেছেন যে এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই আমি যতদিন আছি ততদিন দাজ্জালের সাথে আমি একাই মোকাবেলা করব। যখন আমি থাকবো না তখন তোমাদের যা আছে তা নিয়ে তোমরা দাজ্জালের মোকাবেলা করবে। এবং কোরআন তোমাদের সাথে আছে সব সময় কোরআনের নির্দেশ অনুসারে তোমরা চলবে দেখবা দাজ্জাল তোমাদের কিছুই করতে পারবে না। এমত অবস্থায় দাজ্জালের কথা যখনই সাহাবীরা শুনলেন যে রাসুল সাঃ নিজে কোন ভয় পান নেই এবং নিজেই মোকাবেলা করার জন্য সাহস করে বসে আছেন তখন সাহাবীরা একটু প্রাণ ফিরে পেলেন। হযরত মুহাম্মদ সাঃ বললেন আমরা আমি যখন থাকবো না তখন তোমরা দাজ্জালের আবির্ভাব বা দাজ্জালের সম্মুখীন যখন হবে তখন যা যা আছে তা নিয়ে লড়বা তোমরা এবং সূরা কাফিরুন এর প্রথম আয়াত পড়ে নেওয়া উচিত তোমাদের সবার। সাহাবীরা তখন হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে বললেন যে দাজ্জালের চেহারা কেমন হবে ওই সময়ের কালের এক জালিয়াতি অত্যাচারী পরায়ক শাসক ছিলেন সেই শাসকের চেহারার অনুসরণ করে বললেন যে দাজ্জালের চেহারাটা ঠিক এরকমই হবে। সেই জালিম শাসকের নাম ছিলেন আব্দুল ওজা ইবনে কুতুন। দাজ্জালের চেহারার বর্ণনা হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম দিয়েছেন যে দাজ্জালের চুল কোঁকড়ানো হবে কালা কুৎসিত চেহারার হবে এবং তার একটি চোখ কানা থাকবে আর একটা চোখ কপালের একটু উপরে থাকবে এটা রাসূল সাঃ উল্লেখ করে গেছেন দাতালের চেহারার বর্ণনা দিয়ে গেছেন। এবং দাজ্জালের যে আবির্ভাব হবে সেটা হলো সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী স্থান থেকে। দাজ্জাল ওখান থেকেই মানুষের প্রতি আক্রমণ চালাবে এবং তার কুখ্যাত কর্মকান্ড মানুষের প্রতি আকৃষ্ট এবং মানুষকে ক্ষতি করার জন্য সব সময় সংকীর্ণ থাকবে। হে রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম আমাদেরকে আপনি ভালোবেসে গেছেন আমাদেরকে দাজ্জালের হাত থেকে মুক্তি করার জন্য এবং তার ফিতনার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদেরকে শক্তি যোগানোর জন্য আপনি আমাদেরকে সর্বক্ষণই আমাদেরকে হেফাজত করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)