কেয়ামতের দিন মানব জাতিকে যে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে।

History
0

 কেয়ামতের দিন মানব জাতিকে যে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে। 


কিয়ামতের পর হাশরের ময়দানে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে পৃথিবীর জীবন সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করবে। 

তার মধ্যে পাঁচটি প্রশ্ন থাকবে প্রধান প্রশ্ন 

এই পাঁচটি প্রশ্নর শান্ত জনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হবে যে, 

তাকে অবশ্য অবশ্যই কঠিন আজাব ভোগ করতে হবে। 

এই পাঁচটি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কেউ এদিক ওদিক এক পাও যেতে পারবেনা। 

কেয়ামতের দিন মানব জাতিকে যে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে।

ইমাম মাহদী

এই সম্পর্কে তীর-বৃত্তি শরীফে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে বর্ণনা করেছেন হযরত ইবনে মাউসু উত রাসুল মহানবী দাউদ বলেছেন সেদিন মানবজাতির কেয়ামতের প্রত্যেকটি মানুষকে অর্থ উপার্জন করতে হবে, 

তেমনি সৎ পথে ও সৎকাজেই তা ব্যয় করতে হবে। 

গরিব দরিদ্র অক্ষম অসহায় অন্ধ আতুর উপার্জন হীন অর্থ মানুষকে দান করতে হবে। 

কারবালার ইতিহাস

ধনসম্পদ যেন অকেজো হয়ে শুধু পড়ে না থাকে অথবা অযথা ভোগ-বিলাসিতা দেয় না হয়, সে ব্যাপারে চরম সতর্ক থাকতে হবে। 

এরপর যে প্রশ্ন হাশরের ময়দানে করা হবে, 

তা হলো মানুষের জ্ঞান সম্পর্কে। 

একজন লেখাপড়া না জানা মূর্খ মানুষের কথাই ধরা যাক, 

সে লেখাপড়া না জানলে নিজের স্বার্থ ভালোভাবেই বোঝে। 

টাকা চিনে ঠিকই পৃথিবীর জীবন একজন লেখাপড়া না জানা মূর্খ মানুষের জমিন জমির বা অন্য কোন সম্পদ নিয়ে গোলযোগ দেখা দিলে সে সালিশের জন্য দৌড়ায়। 

উকিলের কাছে যায় মোকাদ্দুম করে। 

এসব স্বার্থের বেলায় তার কাজ ঠিকই থাকে থাকে না শুধু তার পালন করতাম মহান স্রষ্টা আল্লাহর রাব্বুল আলামিন বেলায়। 

জমা জমির জন্য মূর্খ মানুষটা দুনিয়ার স্বার্থের টানে উকিলের কাছে ছুটে যায় কিন্তু পরকালের গণতন্ত্র জীবনকালের শুধু সুখ শান্তি আল্লাহকে জানার জন্য কোরআন হাদিস জানা ব্যক্তির কাছে ছুটে যায় না। 

এজন্য তাকে কঠিন জবাব দিতে হবে। 

লেখাপড়া শিখতে পারিনি কিছু বুঝতাম না এ কথা বলে হাশরের ময়দানে পার পাওয়া যাবে না। 

আরেক শ্রেণীর মানুষ যারা বহু অর্থ ব্যয় করে নানান বিদ্যা অর্জন করে কিন্তু যে বিদ্যা অর্জন করলে নিজের স্রষ্টা কে জানা যাবে না সে বিদ্যা জ্ঞান অর্জন করে না। এরাও সেদিন ধরা পড়বে। 

আবার আরেক দল মানুষ সব সাধারনের জ্ঞান অর্জন করে কিন্তু জেনে বুঝেও ইসলাম বিধান সাথে বিরোধিতা করে মুনাফিক। 

এমন মানুষের অভাব নেই যারা ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত কিন্তু ইসলামী আইন মেনে চলেনা এরা হলো মুশরিক শয়তানের ঠাকুর। 

এ ধরনের সব মানুষের আল্লাহর নিকট জবাব দিতে হবে। 

সে তার জ্ঞানকে কিভাবে কোন কাজে ব্যবহার করছে। 

হাশরের ময়দানে চুল সেরা হিসাব হবে।

কিয়ামতের পরে হাশরের ময়দানে যখন মানুষের সমস্ত কাজের বিচার অনুষ্ঠিত হবে সেদিনটা কি মহান আল্লাহর কোরআন শরীফে মানুষের জয় পরাজয়ের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সফলতা ব্যর্থতার দিন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। 

মহান আল্লাহ বলেন অবিশ্বাসীগণ বড় অহংকার করে বলে বেড়ায় মৃত্যুর পরে আর কিছুইতেই তাদের পুনরুদ্ধার জীবন করা হবে না পুনর্জীবিত করা হবে না। 

হে নবী আমরা তাদেরকে বলে দিন আমার প্রভু শপথ নিশ্চয়ই তোমাদেরকে পরকালে পুনর্জীবিত করা হবে। তারপর তোমাদের পৃথিবীতে যা যা করেছ তা জানানো হবে আর এসব কিছুই আল্লাহর জন্য অত্যন্ত সহজ ব্যাপার। 

আল্লাহকে বিশ্বাস করা মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার ব্যাপার 

মানুষকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সৃষ্টি করেছেন তাকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দান করেছেন। সেই ইচ্ছে করলে তার স্রষ্টা আল্লাহ তার নবী রাসূল তার, তার জীবন বিধান কুরআন অস্বীকার করে পৃথিবীর যেমন ভাবে মন চায় সে তেমনভাবেই চলতে পারে। অবশ্য এভাবে চললে মানুষের পরিণাম যে কি হবে তা আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন। 

আবার মানুষের ইচ্ছে করলে আল্লাহর রাসূল কোরআন ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে পৃথিবীর অত্যন্ত সৎ ভাবে জীবন যাপন করতে পারে। এভাবে পৃথিবীর জীবন-যাপন করলে তার ফলাফল যে কি তাও আল্লাহ তা'আলা জানিয়ে দিয়েছেন।

 আল্লাহ তাআলা মানুষকে জীবন যেমন স্বাধীনতা দান করেছেন সৎ ও অসৎ কাজে দেখেছেন সৎ পথে চললে পুরস্কার ও অসৎ পথে চললে শাস্তি ঘোষণা দিয়েছেন, তেমনি ভাবে পরীক্ষাও তিনি মানুষের কাছে থেকে নেবেন পৃথিবীতে জীবনের কোন মানুষের জয়ী বা সফল হলে আর কোন মানুষ পরাজিত বা ব্যর্থ হল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)